নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হিংসতার কথা সকলেরই কমবেশি জানা। প্রায় ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জটিকে দখল করে রেখেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কথা, চিন্তা করলেও হতে হতো হামলা এবং মামলার শিকার। প্রতিটি পারা মহল্লাকে এক একটা ক্যাডার গ্যাং তৈরি করে রেখেছিলো আজমেরী উসমান ওরফে ভাইজান।এই ক্যাডার ভাইজানের সাথে রয়েছে সন্ত্রাসী  ইসদাইর এলাকার নাসির, সস্থাপুর কোতালের বাগের সামাদ, ইসদাইর রেল লাইনে শাহাতাৎ হোসেন রুপু সহ আরো অনেক পাতি নেতারা। আসমেরি উসমানের সাথে  অন্যতম সহযোগী হিসাবে কাজ করতো কুতালে বাগের আব্দুল সামাদ। সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে হুন্ডা দিয়ে মহড়া দেওয়া ছিলো যার প্রধান কাজ।

সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে খুশি রাখত আজমেরী পরিবার এবং নাসির কে। যানা যায়,সামাদের যন্ত্রণায় সর্বদা আতংকে থাকতো এলাকাবাসী। গোপন সুত্রে জানা যায়, জায়গা কিনলে সামাদকে দিতে হতো চাঁদা, বাড়ি নির্মাণ করলেও তাদের করা নির্ধারিত দামেই নিতে হত সকল সামগ্রীক। এছাড়া জমি দখল,ব্যবসায়ীদের ধরে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ই ছিলো সামাদের প্রধান কাজ।এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করা, তাদের দিয়ে মারামারি করিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রাখা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়িদের থেকে চাঁদা তুলা এবং সেই চাঁদা ভাগ নিয়ে হত্যা সহ সকল কাজেই নাসির অধরা থাকলেও সামাদ ছিলো দৃশ্যমান। এবং তার কথা না শুনলে,সাধারণ মানুষকে হতে হতো হামলা বা মামলার শিকার। ছিটকে এই সামাদের সহযোগী হিসেবে থাকতো নাসির। আর সবার উপরে আজমেরি ওসমান। নাসির, সামাদকে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ভয়ানক ক্যাডার হিসেবে গড়ে তুলতে সংক্ষম হয়। এবং সামাদের সকল অপকর্মকে বাহবা দিয়ে এগিয়ে যেতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে বলেও জানা গেছে। ১৯ শে জুলাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া সহ শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করারো অভিযোগ রয়েছে এই সামাদের নামে।তবে আজমেরি ওসমানের সকল ক্যাডারা পালিয়ে গেলেও, পালাতে সক্ষম হয়নি সামাদ। কিছুদিন নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে থাকলেও, বর্তমানে তিনি রয়েছে এলাকায় প্রকাশ্যে। এবং বর্তমান শহরের সকল খবরা খবর তার সহযোগীদের কানে পৌঁছে দিচ্ছে, এবং খুব শীঘ্রই এলাকায় একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছে এলাকাবাসি।এসব আওয়ামীলীগের দোশোর এবং ক্যাডার বাহিনী এখনো কিভাবে এলাকায় ঘুরে প্রশ্ন জনমনে।দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামানা করছে এলকার মানুষ।